খুলনা, বাংলাদেশ | ২ মাঘ, ১৪৩১ | ১৬ জানুয়ারি, ২০২৫

Breaking News

  ১৭ বছর পর কারামুক্ত হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফু্জ্জামান বাবর
  দেশে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) আক্রান্ত নারীর মৃত্যু
  মোংলার চাপড়া এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ২
  গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র : আজ প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে সর্বদলীয় বৈঠক

তেরখাদায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোটি কোটি টাকার জমি বেদখল

তেরখাদা প্রতিনিধি

তেরখাদা উপজেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবোর) জায়গা অবৈধভাবে দখল করে দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বসত বাড়ি ও ভবন নির্মাণের হিড়িক পড়েছে। সরকারি কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে প্রতিনিয়ত এসব প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠায় সরকার লাখ লাখ টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে। অপরদিকে অদৃশ্য কারণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে কোনো প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ৫৮৩ একর জমি রয়েছে। এ সকল জমির একটি বড় অংশ প্রভাবশালীরা যে যার মত করে দখল করে পাকা ঘর নির্মাণ করে বসবাস করছে। আবার অনেকে বালু, মাটি দিয়ে ভরাট করে রাতারাতি বহুতলা পাকা স্থাপনা গড়ে তুলেছে। বছরের পর বছর অতিবাহিত হলেও বেদখল এসব সম্পত্তি উদ্ধারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন উদ্যোগ নেই।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলা সদরের কাটেংগা, জয়সেনা, তেরখাদা, হাড়িখালী বাজার, ইখড়ি, শেখপুরা, কোলা বাজার স্যুইচ গেইট, মধুপুর, লষ্করপুর স্যুইচ গেইট সহ বিভিন্ন এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে অসংখ্য স্থাপনা। অপরদিকে চিত্রা নদীসহ বিভিন্ন খাল দখল করে প্রভাবশালী মহল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনা গড়ে তুলেছেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, রহস্যজনক কারণে পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসবের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এ বিষয়ে দ্রুত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।

উপজেলা বিএনপির আহবায়ক চৌধুরী ফখরুল ইসলাম বুলু বলেন, ফ্যাসিবাদী আ’লীগ সরকারের আমলে একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তি সরকারি জায়গা দখল করে পাকা ভবন নির্মাণ করেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব অবৈধ স্থাপনার উপর অভিযান চালিয়ে দখল মুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন তিনি।

উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা শামীম আহমেদ রমিজ বলেন, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নদী ও খাল দখল করে ভবন নির্মাণ করায় নদী ও খালগুলো সাধারণ মানুষদের ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে পড়ছে। আইন কানুন না মেনে সরকারি জায়গা দখল করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করায় সরকার লাখ লাখ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে। তাই আমি এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদসহ দখলদারদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ সহকারী প্রকৌশলী সেলিম রেজা জমি দখলের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। শীঘ্রই এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য অভিযান পরিচালনা করা হবে।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!